জ্যামিতিক হারে বাড়ছে দেশে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। মার্চের ৩০ তারিখ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৯ জন আর মাত্র ১৫ দিন পরেই আজ( ১৪ এপ্রিল ২০২০) সেই সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০১২ জনে।
করোনা আক্রান্তের এই বেড়ে দাঁড়ানোর হার গাণিতিক হিসেবেই ২০ গুন।
একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা। আজ একদিনের মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড সাত জনের।


(১৩ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত) । সূত্রঃ ওয়ার্ল্ডোমিটার
করোনা আক্রান্তের এই গ্রাফটিই বলে দেয়, কী গতিতে ছুটছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা টেষ্ট এর অপ্রতুলতা তো রয়েছেই। গতদিন সর্বোচ্চ টেষ্ট হয়েছে ১৯০৫ জনের। দেশের জনসংখ্যার তুলনায় এই টেস্টিং এর হার পৃথিবীতে সর্বনিম্ম কয়েকটি দেশের একটি।
হংকং এ প্রথম এক হাজার করোনা রোগী পেতে টেস্ট করতে হয়েছে ৯৬ হাজার জনের। সেখানে বাংলাদেশে এই প্রথম ১০০০ রোগী পেয়েছে মাত্র ১৩০০০ জনের টেস্ট করে। এতে একটা জিনিস বোঝা যায়, টেস্ট এর ব্যপকতা বাড়াতে পারলে দেশে করোনা আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে।
গত কয়েকদিনে করোনার মতো উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর অনেকগুলো ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি এসব অনেক ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ করাও হয় নি। তাই তাদের আসলেই করোনা ছিল কী না, তা জানা যায় নি।
করোনায় আক্রান্তের মধ্যে কেবল বিদেশ ফেরত নয়। যারা কোন বিদেশ ফেরত ব্যক্তির কাছে যায় নি এমন লোকের মধ্যেও সংক্রমনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রীও গতকাল স্বীকার করেছেন যে, দেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটছে। এই খবর আসলেই আতংকিত হওয়ার মতো খবর। হয়ত আমই কিংবা আপনি করোনা ভাইরাস বয়ে বয়ে ঘুরছেন , কিন্ত নিজেই যানেন না। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতেই, কোন লক্ষণ নেই এমন অবস্থাতেও কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে সংক্রমন ঘটাতে পারে।
করোনার এই ভয়ংকর সময়েও সরকারের ত্রান চুরির ঘটনা ঘটছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে আঞ্চলিক সহিংসতার ঘটনা। এমনকি মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।