কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কয়েকদিনের জন্য মসজিদে জামাতে নামাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র গুলো জানায়, সরকার চায় আলেম-ওলামা, ডাক্তার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাধারণ মানুষ সবাই এই বিষয়টিতে সম্মতি দিলেই কেবল এমন সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে। সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশে আক্রান্ত সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিতে আনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আর সময় নষ্ট না করে এখন এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে। জানা গেছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে উল্লিখিত বিভিন্ন পেশার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বৈঠকে বসেছেন। বৈঠক শেষে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সম্মতি নিয়ে বিকেলের মধ্যে থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হতে পারে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এ ধরনের একটি চিন্তা-ভাবনা চলছে।
ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধকল্পে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসুল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের মুসল্লি মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
একই সাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকেও উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
এ সময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও এ সময়ে কোন ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।