করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটিকে মরদেহ সৎকারে প্রতি উপজেলায় ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচন করে প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে এবং কমিটির জন্য সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সাধারণ কিছু রোগের মৃত্যুকে করোনা জনিত মৃত্যু ভেবে আতঙ্কের কারণে মরদেহ সৎকারের ভীতি এবং অনীহা প্রকাশের কারণে এ নির্দেশনা দেয় বলে জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়।
‘সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, অন্য রোগের মৃত্যুকে করোনা জনিত মৃত্যু ভেবে করোনা আতঙ্কের কারণে মৃতদেহ সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে লোকজন ভীতি এবং অনীহা প্রকাশ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৃতদেহ সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় পর্যায় থেকে তিনজন নারীসহ কমপক্ষে ১০ জনকে (৩ জন মহিলাসহ) স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। এ ১০ জন মরদেহ সৎকারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন করবে। তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা আল-মারকাজুল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্থানীয় পর্যায়ে মৃতদেহ সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচন ও তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা আল-মারকাজুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। সরকারের এ নির্দেশনা অবগতির জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে করোনা প্রতিরোধে ১ মার্চ একটি জাতীয়সহ বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করে সরকার। উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে ইউএনওকে প্রধান করা হয়েছে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার ক্যলাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়।