কেরানীগঞ্জ, ঢাকাঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রথম ক’রোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রো’গী শ’নাক্ত হয়েছে। ক’রোনা আ’ক্রান্ত ওই ব্যক্তি গত শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নিয়েছিলেন।
এ কারণে করোনা শ’নাক্ত হওয়ার পর রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে কেরানীগঞ্জ জিনজিরা ইউনিয়নের মডেল টাউনটি লকডাউন করে দিয়েছে উপজে’লা প্রশা’সন।
এরপর ওই এলাকায় পু’লিশ অবস্থান নেয়। একজন আ’ক্রান্তের ঘটনায় পুরো কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকা লকডাউন করে দেওয়ার বিষয়ে উপজে’লা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার ওই ব্যক্তি এলাকার মসজিদে সবার সঙ্গে নামাজ পরেছেন। তাই সমগ্র এলাকাবাসীর নি’রাপত্তার কথা ভেবে আপাতত আজ থেকে ১৪ দিনের জন্য পুরো মডেল টাউন এলাকা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজে’লা স্বাস্থ্য কর্মক’র্তা ডা. মীর মোবারক হোসেন বলেন, আ’ক্রান্ত ব্যক্তি অ’সুস্থ হয়ে গত ২৯ মার্চ জিনজিরা ডায়গস্টিক সেন্টারে যান।
এর তিনদিন পরে ১ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎ’সার জন্য যান। পরে বেশি অ’সুস্থ হলে সেখান থেকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তার করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতেই তার ক’রোনা পজেটিভ ধ’রা পড়ে। তার পরিবারকে হোম কোয়ারেইনটাইনে রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, তাতে ক’রোনায় আ’ক্রান্ত ৬৮ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি মডেল টাউন এলাকায় ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করতেন।
তার তিন ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। বড়ো দুই ছেলে একজন দক্ষিন কোরিয়া ও অন্যজন সৌদিতে থাকেন। ছোট ছেলে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন। তবে গত ১ মাসে তার পরিবারের কেউ বিদেশফেরত নেই বলেও জানান এই চিকিৎসক।
উল্লেখ্য, ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধকল্পে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসুল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের মুসল্লি মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
একই সাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকেও উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
এ সময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও এ সময়ে কোন ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।