

দোহার, ঢাকাঃ ঢাকার দোহার উপজেলায় কার্তিকপুর বাজার জামে মসজিদে মসজিদে সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় এই সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানায়।
স্থানীয়রা জানান , সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ দশজন জামাত আদায় করতে পারবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইমাম এবং মুয়াজ্জিন মুসল্লীদের জানিয়ে দেন। এবং মুয়াজ্জিন মসজিদের মাইকে এই ঘোষনা দিয়ে দেন।
কিন্ত সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তার চেয়েও কয়েকগুন মুসল্লী মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে আসেন। এ সময় মসজিদের মুয়াজ্জিন আবু সাঈদের কাছে লোকজন বেশি হওয়ার কারণ জানতে চান স্থানীয় চুন্নু মাদবরসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চুন্নুর ভাই ফরহাদ হোসেন ও তার আরেক ভাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পান্নুসহ বেশ কয়েকজন মসজিদে গিয়ে মুয়াজ্জিনসহ ছয়জনকে পিটিয়ে আহত করে।
আহতরা হলেন- ওই এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন ভূইয়া, আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, এজাজ আহমেদ মন্টু, জিন্নত সিকদার, জুবায়ের সিকদার ও মুয়াজ্জিন আবু সাইদ। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের স্বজন কামাল উদ্দিন জানান, “আনোয়ার হোসেনকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদের অবস্থাও ভালো নয়। ”
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান পান্নু বলেন, “আমার বড় ভাই হাবিবুর মসজিদের নিচতলায় অতিরিক্ত লোক হওয়ায় তাদের দ্বিতীয় তলায় যাওয়ার অনুরোধ করেন।এ সময় আবুল ও আনোয়ার নামে দুইজন বলেন, কাউকে উপরের তলায় যেতে হবে না। এ নিয়ে হাবিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তারা আমার বড় ভাইকে গালাগাল করে। পরে বিষয়টি হাতাহাতিতে গড়ায়। আমি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
এ বিষয়ে চর মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাহ আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”