

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ভয়ানক রূপ নিয়েছে করোনা মহামারি। দূরন্ত গতিতে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। রাস্ত-ঘাটে যেখানে সেখানে মরে পড়ে থাকছে মানুষ। ছোঁয়া তো দূরে থাক, কেউ ফিরেও দেখছে না। লাশ কুড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তারাই রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহ জড়ো করছে।


দেশটির বন্দরনগরী গুয়ায়াকুইলের রাস্তা থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০০ জনের পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও অসংখ্য লাশ বেওয়ারিশ পড়ে আছে। মর্গগুলোতেও আর জায়গা নেই।
In #Ecuador they are leaving the dead by coronavirus in the streets #EcuadorEnEmergencia #Covid_19 ??? pic.twitter.com/5MVTPpLPvG
— Angel Elemiah (@MaximoSPQR) April 2, 2020
সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, চলতি মাসের মধ্যেই গুয়ায়াকুইল নগরী ও আশপাশের এলাকায় ৩,৫০০-এর বেশি লোক মারা যেতে পারে। সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়েছে শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে এএফপি ও নিউইয়র্ক পোস্ট।
Body’s can’t get picked up because the police won’t do it the coronavirus it’s getting bad ??⚠️⚠️??⚠️⚠️???#EcuadorEnEmergencia #ecuador #repost pic.twitter.com/TnjOyzqAgw
— Grindfacetv?? extreme (@GrindfacetvX3) April 1, 2020
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোর পর ভাইরাসটি এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলেও। এই অঞ্চলে প্রথম করোনা ধরা পড়ে গত মাসের শেষের দিকে (২৬ ফেব্রুয়ারি) ব্রাজিলের সাও পাওলোতে। এরপর অন্যান্য দেশেও প্রকোপ দেখা দেয়। শুক্রবার পর্যন্ত ল্যাটিন আমেরিকাজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের।
#ECUADOR | Ecuadorian Police officers are leaving the bodies in the streets due to the collapse of the country’s morgues and hospitals due to the #coronavirus. #SOSGuayaquil #SOSEcuador #COVIDー19 #GuayaquilSOS #COVID2019 pic.twitter.com/CUngufEFlj
— BTFKNews (@BTFKNews) April 2, 2020
মাত্র পাঁচ দিনে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ব্রাজিল ও ইকুয়েডর। কিন্তু প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোর সরকার করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে।
হাসপাতালের মর্গেও জায়গা হচ্ছে না । সারি সারি লাশ ফেলে রাখা হয়েছে প্যাকেট করে।
Ecuador ??
? Dozens of bodies in hospital corridors, evidence of the inaction & negligence of dictator @Lenin Moreno’s regime, who has demonstrated an inability & unwillingness to prepare for #coronavirus. pic.twitter.com/qmvaWaQBCG
— Terrence Daniels (Captain Planet) (@Terrence_STR) April 1, 2020
গত বুধবারই এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। কিন্তু এরপর রাস্তা-ঘাটে পরিত্যক্তভাবে লাশ পড়ে থাকার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
Guayaquil Ecuador. “This is the reality, raw bodies, it is a death toll, it is outrageous.”
I was an inmate of this hospital. The place where I learned to save lives turned into a cemetery where human beings are humiliated. #coronavirus pic.twitter.com/P1paSjSVKR— Felix (@felixdennis123) April 3, 2020
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানায়, ইকুয়েডরের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী গুয়ায়াকুইলের বাসিন্দারাই সামাজিক মাধ্যমে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহের ভিডিও প্রকাশ করে। অনেকে তাদের বাড়ি থেকে মৃতদেহ সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠায়। কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেয়ার বাড়িতে মারা যাওয়া মৃতদেহ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
সরকারের মুখপাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মৃতদেহ থেকে দূরে থাকার বার্তা সম্প্রচারের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশটিতে মোট ৩,১৬০ জন আক্রান্ত এবং বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর প্রকৃত আসলে জানা সম্ভব হচ্ছে না।